ট্রাম্পের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন কঠিন হতে পারে
২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২০ পিএম | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ঘোষণা করেছেন যে তার সরকার আর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী অনথিভুক্ত শিশুদের নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করবে না। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকারের সাংবিধানিক নিশ্চয়তাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠিত সংবিধানে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একজন আমেরিকান নাগরিক। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আদেশটি শিশুদের নাগরিকত্বের নথি প্রদান না করার জন্য ফেডারেল সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রাম্পের এই আদেশের অর্থ হল, সেইসব শিশু নাগরিকত্ব লাভ করবে না, যাদের মা এবং শিশুর জন্মের সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত নয়। এরফলে, তারা সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড এবং পাসপোর্টের মতো নথিভুক্ত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব-নিশ্চিতকরণ নথিগুলি উপলব্দ করবে না। ট্রাম্প প্রশাসন কার্যকরভাবে তাদের সরকারি স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি এবং আবাসন সুবিধার মতো সরকারি পরিষেবাগুলি থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্তু, এটি করতে যেয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও বাধার মুখে পড়ছেন ট্রাম্প। কারণ, মার্কিন সংবিধানের যেকোন পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসে সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন, এবং তারপর, দেশটির তিন-চতুর্থাংশ রাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন। নিশ্চিতভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন তিনি।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এককভাবে সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার রাখেন না, এবং জন্মগত অধিকার সূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত বা বাতিল করার কোনো নির্বাহী আদেশ মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন।
যদিও ট্রাম্পের আদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে, তা বাতিল বলে গণ্য হতে পারে। তবে, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক এবং অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইন বিশেষজ্ঞ ড. আমান্ডা ফ্রস্ট বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কোনো এক সময়ে জন্মগত নাগরিকত্বের প্ররোচনাকে সীমিত করার যুক্তি খুঁজে পেতে পারে, এই ধারণাটি আর হাস্যকর নয়।’
এরআগে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে জন্মগত সূত্রের নাগরিকত্বের সুবিধা সীমিত করার জন্য সর্বসম্মত অবস্থান ছিল, এবং অন্তত একজন বিচারক এটি বিবেচনা করতে ইচ্ছুক বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রফেসর ফ্রস্ট বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা অকল্পনীয়, যা আমি ২০১৯ সালে বলতাম। অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।’ সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাগলনাইয়ায় দুই হাত কাটা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সম্পাদক মামুন
খুবি কেন্দ্রে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নানা সিদ্ধান্ত
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আদেশ স্থগিতে ১৮টি রাজ্যের মামলা
টেলিকমে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাতিল করা হবে : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কারচালক নিহত
খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
বন্দরে বকেয়া বেতন দাবিতে পারটেক্স শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : ইউজিসি
ধামরাইয়ে ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ইজিবাইক চালকের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত
গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা -নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক
বিদ্যুৎ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিল পবিস কর্মীরা
উত্তরা উলামা আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন
ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল হলেও অধরা রূপগঞ্জের রুবেল
সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে অভিযুক্ত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
পদ্মা ব্যাংকের ১২২তম পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত
ভারতের ছত্তিশগড়ে বন্দুকযুদ্ধে ২০ মাওবাদী নিহত